করোনা সংক্রমণের কারণে দুই বছর কঠোর বিধিনিষেধে ব্যাহত হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। করোনার আঘাতে ম্লান হয়ে যায় ঈদের আনন্দও। এ বছর করোনা প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় জীবনযাত্রায় ফিরেছে স্বাভাবিক ছন্দ।
বিধিনিষেধ না থাকায় আগেভাগে কেনাকাটা জমে উঠতে শুরু করেছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটের বিপণিবিতানে।
সরেজমিনে উপজেলার গ্রামীণ শহর পাকেরহাট কাচিনীয়া, খানসামা হাট এলাকার বিপণিবিতানসহ মার্কেটে দেখা গেছে, ক্রেতাদের বাড়তি ভিড়। তারা পছন্দের জামাকাপড় কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে দেখছেন। ঈদে নতুন কী পোশাক এসেছে, তা-ও দেখতে এসেছেন অনেকে। ফুটপাতে কেনাকাটা করছেন অনেক নিন্ম আয়ের মানুষ।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, প্রতিবছর ঈদের কয়েকদিন আগে দোকানে অনেক ভিড় থাকে। এবার একটু আগেভাগে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা জানান, সব পোশাকের দাম কিছুটা বেশি।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মাসুম (১৮), রুবায়েত ইসলাম নামে ইন্টারমিডিয়েড পরা দুজন ছাত্র জানান, আজকে দুই বন্ধু মিলে বাজারে গেছিলাম ঈদের কেনাকাটা করতে কিন্তু বর্তমানে প্যান্ট,শার্ট, পাঞ্জাবীর যে দাম মনে হয় এই ঈদে কেনা হবে না।
তারপরেও দেখি সুযোগ পেলে নিয়ে নিবো।
সিনহা মারিয়া রেবেকা নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী বলেন, মানুষের ভিড় কম হবে তাই সকাল-সকাল মার্কেটে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি ক্রেতাদের অনেক ভিড়।
ঈদকে সমানে রেখে প্রতিটি বিপণিবিতানে পোশাকের ব্যাপক সমারোহ দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের কালেকশন তারা রেখেছেন। তবে গরমে সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকায় সুতি কালেকশন বেশি রয়েছে।
উপজেলার পাকেরহাটে আঁখি গার্মেন্টস প্রাইপাইটর আকরাম আলী বলেন, ক্রেতাদের পছন্দ ও আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে ঈদ কালেকশন করা হয়েছে। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন, অনেকে কিনছেনও।
এছাড়াও ব্যস্ততার মাঝেও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানালেন, মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, হাফসিল্ক শাড়ি, কাতান শাড়ি, মসলিন শাড়ি, স্কার্ফ, হিজাব, জুয়েলারি, ব্যাগ, জুতা, কসমেটিকস এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি-পায়জামা, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।